Learn about Seminar Presentation (আলোচনাচক্র) | How to Write it for NIOS D.El.Ed 513 WBA

Spread the love

NIOS Deled WBA 513 তে Seminar Presentation সাবমিট করতে হবে এটা জানার পর অনেকের মনে কিছু প্রশ্ন জাগতে পারে যেমন  seminar Presentation কি, এটা কিভাবে করতে হবে, এটা কিভাবে লিখতে হবে ইত্যাদি ইত্যাদি। এছাড়াও অনেকে আবার এটা নিয়েও চিন্তা করতে পারেন যে Seminar Presentation টি কত বড়ো করে লিখতে হবে কারণ এমনিতে আমরা সকলেই জানি যে সেমিনার একটি অত্যন্ত বিশাল ব্যাপার যা বড়ো বড়ো কোম্পানি থেকে বড়ো বড়ো ইভেন্টে করানো হয়ে থাকে আর ওই সেমিনার গুলোতে অনেক নামি দামী ব্যক্তিরা অনেক বড়ো ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর আলোচনা করে থাকেন এবং নিজ নিজ মতামত কে সকলের সামনে তুলে ধরে থাকেন । 

এবার আপনাদের মনেও এটা প্রশ্ন জগতে পারে যে আপনাদেরকেও কি এরকম কোনো বড়ো সেমিনারে অংশগ্রহণ করতে হবে। তো আমি এই আর্টিকেল টিতে প্রথমে আপনাদের মনে Seminar Presentation সম্বদ্ধে জেগে উঠা বিভিন্ন প্রশ্নের সমাধান সূত্র দেওয়ার চেষ্টা করবো এবং একই সঙ্গে  NIOS D.El.Ed এর Workshop Based Activities এ আপনারা Seminar Presentation কিভাবে লিখে সাবমিট করবেন সেটারও একটি ডেমো তৈরী করে দিয়ে দেবো যার দ্বারা আপনারা সেমিনার প্রেজেন্টেশন কিভাবে লিখবেন তার একটি স্বচ্ছ ধারণা পেয়ে যাবেন

Related Post – NIOS Deled Acting on Art Education

Seminar Presentation কি ?

সেমিনার প্রেজেন্টেশন কে বাংলায় আলোচনাচক্র ও বলা যেতে পারে কিন্তু এটা সম্পূর্ণরূপে বোঝার জন্য প্রথমে সেমিনার কি সেটা বোঝার প্রয়োজন। সহজভাবে বলতে গেলে সেমিনার হলো একটি আলোচনা সভার মতো যেখানে নানা ধরণের প্রয়োজনীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর আলোচনা করা হয় এবং নিজ নিজ মত বিনিময় করা হয়। সেমিনারে অংশগ্রহণ করলে বিভিন্ন ধরণের শিক্ষণীয় বিষয় আয়ত্ত করা যায়। সেমিনারে একই বিষয় বা একই সমস্যার উপর আলাদা আলাদা ব্যক্তি আলাদা আলাদা মতামত দিয়ে থাকেন এবং এই সব মতামত বিবেচনা ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে অনেক বিষয়ের অনেক অজানা তথ্য জানতে পারা যায়। কোনো সেমিনারে কোনো বিষয় বা কোনো সমস্যার উপর বিস্তারিতভাবে নিজের মতামত তুলে ধরাকে সেমিনার প্রেজেন্টেশন বলা হয়। 

Seminar Presentation এ কি করতে হয় ?

সেমিনার প্রেজেন্টেশনে কোনো বিষয় বা কোনো সমস্যার উপর হওয়া আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে হয় এবং সেই বিষয় বা সমস্যার উপর বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে বিস্তারিত ভাবে নিজের মতামত তুলে ধরতে হয় । 

Seminar Presentation কিভাবে করতে হয় ?

কোনো সেমিনারে অংশগ্রহণ করার পূর্বে সেই সেমিনারে যে বিষয় বা যে সমস্যার উপর আলোচনা করা হবে সেই বিষয়ের উপর প্রথমে যথেষ্ট পরিমানে তথ্যের জোগাড় করতে হয় এবং সেমিনারে অংশগ্রহণ করার পর সেই সেমিনারে অংশগ্রহণকারী অন্যান্য সদস্যদের মতামত শুনে এবং বিবেচনা করে নির্বাচিত বিষয়ের উপর বিস্তারিত ভাবে নিজের মতামত এবং সমস্যার সমাধান সূত্র প্রস্তাব করতে হয়। 

How to Write Seminar Presentation for NIOS D.El.Ed 513 WBA/ SCERT D.El.Ed

এমনিতে কোনো সেমিনারে অংশগ্রহণ করতে হলে এবং সেমিনারটিতে যে বিষয় বা সমস্যা নির্বাচন করা হয়েছে সেই বিষয়টিতে বিস্তারিত মতামত  হলে অনেক দিন ধরে যথেষ্ট তথ্যের জোগাড় করতে হয়। কিন্তু এখানে NIOS Deled এর WBA তে সাবমিট করার জন্য তা কোনোভাবেই সম্ভবপর নয় কারণ এখানে অনেক দিনও নেই, এবং তথ্য জোগাড় করার এতো নেই। 

তাই NIOS D.El.Ed এর Workshop Based Activities (Course Code- WBA 513) বা SCERT D.El.Ed এর Workshop Based Activities এ সেমিনার প্রেজেন্টেশন কিভাবে লিখবেন সেটা যদি বুঝতে না পারেন বা কিভাবে লিখতে হয় সেটা যদি খোঁজে থাকেন তবে নিচে দেওয়া সেমিনার প্রেজেন্টেশন এর ডেমোটি দেখতে পারেন। নিচে দেওয়া ডেমোটি পড়লে আপনারা খুব সহজেই নিজেদের মতো করে সেমিনার প্রেজেন্টেশন  এর বিষয়ে লিখতেও পারবেন এবং সেটা আপনার D.el.ed Study Center এ সাবমিট করতেও পারবেন। এছাড়াও নিচে দেওয়া ভিডিওটি দেখে আপনারা সেটা কিভাবে লিখতে হবে এর ধারণাও পেয়ে যাবেন।

Related Post- NIOS DElEd School Community Relationship

SEMINAR (আলোচনাচক্র)

ভূমিকাঃ 

প্রতিটি মানুষ একটি সুস্থ সামাজিক পরিবেশে থাকতে ভালোবাসে। কিন্তু বিভিন্ন কারণে কিছু বিষয় আমাদের সমাজ জীবনে এমনভাবে প্রভাব ফেলে যাতে আমাদের সমাজের পরিবেশ বিনষ্ট হয়। এভাবে আমাদের সামাজিক জীবনে মধ্যে মধ্যে কিছু সমস্যার সৃষ্টি হয় যেগুলো আমাদের ভালোভাবে কাজ করতে অসুবিধা দেয়, যেমন- যাতায়াতের সু- ব্যবস্থার অভাব, দারিদ্রতা, অন্ধবিশ্বাস, নিরক্ষরতা, শিশু শ্রমিক ইত্যাদি। 

বিযয় নির্বাচন –

প্রতিটি শিশুর অধিকার আছে তাদের শৈশব সুন্দর এবং হাসি খুশি ভাবে অতিবাহিত করার, তাদের অধিকার আছে বিদ্যালয়ের আঙিনায় যাওয়ার, পড়াশুনা করার, খেলাধুলা করার কিন্তু শিশুশ্রম এর মতো এক জ্বলন্ত সামাজিক সমস্যার কারণে কিছু সংখ্যক শিশুর শৈশব কাল হারিয়ে যাচ্ছে কোথাও এক অজানা অন্ধকারের মাঝে। যদিও বর্তমানে শিশুশ্রম রোধের জন্য সরকার শিশুশ্রমিক আইন প্রণয়ন করেছেন তথাপিও আমরা আমাদের সমাজ থেকে এই জঘন্য সমস্যাটিকে উপরে ফেলতে পারিনি। আজও অনেক শিশু এমন আছে যাদের কাছে এখনো আলোর সামান্য কিরণটুকুও গিয়ে পৌঁছায়নি। তাই আজ আমি শিশুশ্রম সমস্যার উপর আলোকপাত করে আমার এই আলোচনাচক্রের বিষয় নির্বাচন করলাম। 

উদ্দেশ্য –

আজকের আলোচনাচক্রের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে শিশু শ্রমের মতো জ্বলন্ত সমস্যার উপর আলোকপাত করা। 

তথ্য সংগ্রহ :

আজকের আলোচনাচক্রের বিষয় সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করার উদ্দেশ্যে আমি বিভিন্ন অঞ্চল পরিদর্শন করে বিভিন্ন শিশুর শৈশব অধ্যয়ন করলাম। প্রতিটি শিশুর শৈশব জীবনে বেশ কিছু আলাদা আলাদা সমস্যা পরিলক্ষিত হলেও এমন কয়েকটি সমস্যা ছিল যা প্রায় সবকটি শিশুরই শৈশব জীবনে ছিল এবং এই সমস্যা গুলো থাকা শিশুগুলির মধ্যে থেকে তিনজন শিশুর তথ্য আমি নিচে উল্লেখ করলাম –

প্রথম শিশু :-

নামসমীরণ দাস
বয়স৯ বছর
লিঙ্গছেলে
বিদ্যালয়ের নামবিদ্যালয়ে অন্তর্ভুক্ত হয়নি
পিতার নামসুমিত দাস
মাতার নামকল্যাণী দাস
পিতা মাতার শিক্ষাগত যোগ্যতানিরক্ষর

দ্বিতীয় শিশু :-

নামসুমাইয়া ইয়াসমিন
বয়স১০ বছর
লিঙ্গমেয়ে
বিদ্যালয়ের নামবিদ্যালয়ে অন্তর্ভুক্ত হয়নি
পিতার নামসাদিক মিয়া
মাতার নামআবিদা বেগম
পিতা মাতার শিক্ষাগত যোগ্যতানিরক্ষর

তৃতীয় শিশু :-

নামঅনিকেত সিনহা
বয়স১১ বছর
লিঙ্গছেলে
বিদ্যালয়ের নামবিদ্যালয়ে অন্তর্ভুক্ত হয়নি
পিতার নামসঞ্জয় সিনহা
মাতার নামঅনিতা দেবী সিনহা
পিতা মাতার শিক্ষাগত যোগ্যতানিরক্ষর

তথ্য নির্বাচন –

উপরোক্ত শিশুদের উপর গবেষণা করে আমি নিম্নে দেওয়া দুইটি তথ্য সংগ্রহ করলাম। সেগুলি হলো –

  • পরিবারের আর্থিক অভাব 
  • পিতা মাতার নিরক্ষরতা 

তথ্য বিশ্লেষণ এবং ব্যাখ্যাকরণ :

শিক্ষা হচ্ছে সমাজ সংস্কারের প্রধান অঙ্গ, শিক্ষার মাধ্যমেই সমাজের বিকাশ সম্ভব। কিন্তু উপরে উল্লেখিত প্রতিটি শিশুর শৈশব অধ্যয়ন করলে এই বিষয়টি লক্ষ্য করা যায় যে এদের তিনজনের মধ্যে একটা জিনিস সমান আছে এবং সেটি হলো এরা তিনজনই বিদ্যালয়ে যাওয়ার পরিবর্তে অর্থ উপার্জনের জন্য বিভিন্ন কাজ করে। এই শিশু গুলির শিশুশ্রমিক হওয়ার পিছনের কারণগুলি যখন আমি অনুসন্ধান করতে লাগলাম তখন আমি এটা বুঝতে পারলাম যে এই শিশুগুলির শৈশব অন্ধকারাচ্ছন্ন হওয়ার প্রধান কারণগুলি হলো তাদের পরিবারের আর্থিক অভাব এবং পিতা মাতার নিরক্ষরতা। 
যেহেতু এই শিশুগুলির পিতা মাতা নিরক্ষর ছিলেন তাই স্বভাবতই তারা শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে অবগত নয় এবং এর ফলে তারা তাদের শিশুদের বিদ্যালয়ে অন্তর্ভুক্ত করার পরিবর্তে অর্থ উপার্জন করতে বাধ্য করছে। এছাড়াও পরিবারের আর্থিক অভাব অনটনের কারণেও শিশুরা শিশু শ্রমের মতো জঘন্য অপরাধের সঙ্গে জড়িত হতে বাধ্য হচ্ছে। এই সকল শিশুদের যদি শীঘ্রই শিক্ষার আলোতে নিয়ে আসা না যায় তাহলে তাদের ভবিষ্যত চিরকালের মতো তিমিরে হারিয়ে যাবে। 

উপসংহার :

উপসংহারে বলা যেতে পারে যে শিশু শ্রম হলো এক সামাজিক ব্যাধি যার ফলে অনেক শিশুর জীবন অন্ধকারে হারিয়ে যাচ্ছে তাই আমার গবেষণা করা শিশুগুলি এবং এদের মতো থাকা অন্যান্য শিশুরা যারা শিশুশ্রমের মতো অভিশাপের কারণে শিক্ষার আলোর কিরণ পায় নি তারা যাতে পুনরায় তাদের শৈশব ফিরে পায় এবং পড়াশুনা, খেলাধুলা ইত্যাদির অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয় সেদিকে সরকার ও জনসমাজকে নজর রাখতে হবে, সেইসঙ্গে এদের যৌথ প্রয়াসে শিশুশ্রম নামক জঘন্য অপরাধকে সমাজ থেকে দূরীভূত করতে হবে।


Spread the love

Leave a Comment