What is School Community Relationship ? How to Write it (NIOS D.El.Ed 513 WBA)

Spread the love

School Community Relationship বা বিদ্যালয় এবং সম্প্রদায়ের সম্পর্ক বিদ্যালয়ের শৈক্ষিক পরিবেশের উপর এক গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে থাকে। শহরের বিদ্যালয় হোক বা গ্রামের বিদ্যালয় হোক সমাজ সম্প্রদায়ের যদি বিদ্যালয়ের সঙ্গে সুসম্পর্ক না থাকে তবে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সর্বাঙ্গীন বিকাশ সাধন করা সম্ভবপর নয় তাই যে কোনো অঞ্চলের যে কোনো বিদ্যালয়েই হোক না কেনো সম্প্রদায় সঙ্গে বিদ্যালয়ের সুসম্পর্ক থাকাটা খুব বেশি প্রয়োজন।

What is School Community Relationship? বিদ্যালয় এবং সম্প্রদায়ের সম্পর্ক কি ?

School Community Relationship বা বিদ্যালয় এবং সম্প্রদায়ের সম্পর্ক বলতে কোনো বিদ্যালয় যে অঞ্চলে স্থাপিত আছে সেই অঞ্চলের সম্প্রদায় অর্থাৎ সেই অঞ্চলের মানুষরা বিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্রিয়াকলাপে কতটুকু জড়িত থাকে সেটাকে বোঝায়। বিভিন্ন সময়ে করা বিভিন্ন গবেষণায় এই তথ্যটি উঠে এসেছে যে যে সকল বিদ্যালয়ে শিক্ষক শিক্ষিকাগনদের দ্বারা কৃত বিভিন্ন শৈক্ষিক এবং ক্রীড়ামূলক ক্রিয়াকলাপে অথবা শিক্ষক-শিক্ষিকাগনদের দ্বারা কৃত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সম্প্রদায়ের মানুষেরা ওতপ্রোত ভাবে জড়িত থাকে সেই সকল বিদ্যালয়ের উন্নয়ন অনেক দ্রুত গতিতে হয়। 

কিন্তু অপরদিকে যে সকল বিদ্যালয়ে শিক্ষক কর্তৃক করা বিভিন্ন শৈক্ষিক এবং অন্যান্য ক্রিয়াকলাপে সমাজ বা সম্প্রদায়ের মানুষের কোনো যোগদান থাকে না সেই সকল বিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও বিকাশ তুলনামূলকভাবে অনেক কম হয়। 

সম্প্রদায় বা সমাজের বিদ্যালয়ের কি কি ক্রিয়াকলাপে অংশগ্রহণ করা উচিত ?

কিছুসংখ্যক মানুষ এটা মনে করেন যে সমাজ বা সম্প্রদায়ের কাজ শুধুমাত্র বিদ্যালয়ে শিক্ষক শিক্ষিকাগন কখন উপস্থিত হচ্ছেন এবং বিদ্যালয় ছুটির পর উনারা কখন ফিরে যাচ্ছেন সেটা লক্ষ্য রাখা, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সেটা সত্যি নয়। বিদ্যালয়ের উন্নতি কল্পে সমাজের আরও অনেক দায়িত্ব থাকে যা পালনের মাধ্যমে বিদ্যালয় সুন্দরভাবে চালিয়ে যাওয়া এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সর্বাঙ্গীন বিকাশ সাধনের পথ প্রশস্থ করা সম্ভব। 

সমাজ বা সম্প্রদায় যাতে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক ক্রিয়াকলাপে সরাসরি অংশগ্রহণ করে অনুদান ও শ্রমদান করতে পারে সেইজন্য সরকারের তরফ থেকেই বিদ্যালয় পরিচালনা সমিতি, মার্তৃ গোট ইত্যাদি বিভিন্ন ধরণের সমিতি তৈরী করার নির্দেশ অনেক আগে থেকেই দেওয়া হয়েছে এবং প্রতিটি সমিতি বিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়ন কল্পে কি কি ক্রিয়াকলাপে অংশগ্রহণ করতে তারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  

প্রাথমিকভাবে বলতে গেলে কোনো বিদ্যালয় সুন্দর ও সুষ্ঠভাবে পরিচালনা করার জন্য যে যে কার্য করা হয়ে থাকে সেইসব কার্যের প্রায় সবকটিতেই সমাজ অংশগ্রহণ করতে পারে। বিদ্যালয় মেরামতির কার্য থেকে শুরু করে বিদ্যালয়ের চারপাশ সুন্দর ও পরিষ্কার করে রাখা, মধ্যাহ্ন ভোজন ও পানীয় জলের যোগান ব্যবস্থায় কোনো বাধার সৃষ্টি হলে সেই বাধা নিরসনের ব্যবস্থা করা, সমাজের যারা গান বা নাচ জানেন তারা সপ্তাহে কম করেও এক দিন এসে শিক্ষার্থীদের গান বা নাচ শেখানো, যারা অন্যান্য হস্তশিল্প জানেন তারা শিক্ষার্থীদের হস্তশিল্পের ধারণা দেওয়া ইত্যাদি বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কার্যে সমাজের যোগদান অতি গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হলো যে আজও অনেক বিদ্যালয়ে সেই সব কার্যে সমাজের যোগদান খুবই নগন্য। 

How to Write School Community Relationship for NIOS D.El.Ed 513 WBA/ SCERT D.El.Ed

NIOS D.El.Ed এর Workshop Based Activities (Course Code- WBA 513) বা SCERT D.El.Ed এর Workshop Based Activities এ বিদ্যালয় এবং সম্প্রদায়ের সম্পর্ক বা School Community Relationship কিভাবে লিখবেন সেটা যদি বুঝতে না পারেন বা কিভাবে লিখতে হয় সেটা যদি খোঁজে থাকেন তবে নিচে দেওয়া সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়তে পারেন। নিচে দেওয়া এই লিখাগুলি পড়লে আপনারা খুব সহজেই নিজেদের মতো করে বিদ্যালয় এবং সম্প্রদায়ের সম্পর্ক বা  School Community Relationship এর বিষয়ে লিখতেও পারবেন এবং সেটা আপনার D.el.ed Study Center এ সাবমিট করতেও পারবেন। এছাড়াও নিচে দেওয়া ভিডিওটি দেখে আপনারা সেটা কিভাবে লিখতে হবে এর ধারণাও পেয়ে যাবেন।

বিদ্যালয় এবং সম্প্রদায়ের সম্পর্ক (School Community Relationship)

ভূমিকাঃ 

বিভিন্ন নীতি নির্ধারক শিক্ষাবিদ এবং শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত প্রায় সকলেই ক্রমশঃ বুঝতে পারছেন যে বিদ্যালয় পরিচালনা এবং নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সম্প্রদায়ের যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণের ফলে যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধিগম্যতা ও গুণগত মান ধরে রাখার ক্ষেত্রে একটা নাটকীয় পরিবর্তন এসেছে তার অনেক প্রমাণ পাওয়া যায়। 

জাতীয় শিক্ষানীতির (১৯৮৬) একটি প্রস্তাব হলো স্থানীয় স্তরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনার জন্য সম্প্রদায় বা গোষ্ঠীকে ক্ষমতাযুক্ত করা। NPE প্রস্তাব করেছে যথাযথ প্রতিষ্ঠানিক কাঠামো জেলা ও উপজেলা স্তরে তৈরী করতে হবে। যেমন জেলা শিক্ষা দফতর, গ্রামীণ শিক্ষা কমিটি ইত্যাদি, যেগুলি দেখবে প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে সম্প্রদায় তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারছে কিনা । 

সর্ব শিক্ষা অভিযান (SSA), যেটি হলো প্রাথমিক শিক্ষার সর্বজনীনতার লক্ষ্য পূরণের একটি হাতিয়ার, সেটিও বিদ্যালয় শিক্ষার পরিকল্পনা ও পরিচালনার ক্ষেত্রে সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণের উপর গুরুত্ব আরোপ করেছে।  বিদ্যালয় হলো সমাজের একটা অংশ আর তাই বিদ্যালয় শিক্ষাকে আরও আকর্ষণীয় ও ফলপ্রসূ করে তোলার জন্য লোকসমাজের অংশগ্রহণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

বিদ্যালয় ও লোকসমাজের (সম্প্রদায়) সম্পর্ক :

লোকসমাজ বা সম্প্রদায়কে বিদ্যালয় শিক্ষার সঙ্গে সংযুক্ত করার একটি প্রধান উদ্দেশ্য হলো শিক্ষাকে সর্বজনীন করা অর্থাৎ সকল শিশুর মধ্যে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়া। সকল শিশুকে বিদ্যালয়ে নথিভুক্ত করে তাদের এই শিক্ষা ব্যবস্থায় ধরে রাখা। শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করার জন্য বিভিন্ন ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে শিশুর সর্বাঙ্গীন বিকাশ সাধনে সাহায্য করাই হচ্ছে লোকসমাজকে বিদ্যালয় শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে সংযুক্ত করার প্রধান কারণ। 
আমার বিদ্যালয়েও শিশুদের সর্বাঙ্গীন বিকাশ সাধনের ধারাকে অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে লোকসমাজ বা সম্প্রদায়ের এক বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।  শিশুর বিকাশ ও শিক্ষাব্যবস্থাকে আরও সুন্দরভাবে এগিয়ে নেওয়ার জন্য আমার বিদ্যালয়েও লোকসমাজের সাহায্যে অনেক ক্রিয়াকলাপ করা হয়ে থাকে, এর একটি প্রতিচ্ছবি নিম্নে উল্লেখ করলাম :-

বিদ্যালয় পরিচালনা সমিতি (School Management Committee) :

শিশুদের উন্নয়নের স্বার্থে আমার বিদ্যালয়েও বিদ্যালয় পরিচালনা সমিতি এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। বিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ যেমন বিদ্যালয় মেরামত করা থেকে শুরু করে বিদ্যালয়ের পরিবেশ ও এর চারপাশকে সুন্দর ও স্বচ্ছ রাখা, আশপাশের শিশুদের নাম অন্তর্ভুক্তিকরণ, বিদ্যালয়-ছুটদের পুনঃরায় বিদ্যালয়ের আঙিনায় ফিরিয়ে আনা, মধ্যাহ্ন ভোজন ও পানীয় জলের ব্যবস্থার উপর লক্ষ্য রাখা ইত্যাদি বিভিন্ন কাজে অংশগ্রহণ করা ছাড়াও বিদ্যালয়ের পরিকাঠামোগত উন্নয়নের দিকেও লক্ষ্য রেখে থাকেন। 

অভিভাবক ও মাতৃগোট (Parents and Mother Group) :

মাতৃগোট এবং অভিভাবকগনদের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা হলো ছাত্রছাত্রীর উপস্থিতির দিকে লক্ষ্য রাখা। এছাড়াও শিশুদের সর্বাঙ্গীন উন্নয়ন কল্পে অভিভাবক এবং মাতৃগোটের কিছু অন্যান্য ভূমিকাও রয়েছে , যেমন —

অভিভাবক :-

  • বিদ্যালয়ের শৈক্ষিক পরিবেশের দিকে লক্ষ্য রাখা। 
  • শিক্ষক অভিভাবক সভায় (Parent Teacher Meeting) অংশগ্রহণ করে নিজেদের শিশুদের শৈক্ষিক অগ্রগতির বিষয়ে জানা এবং সেদিকে লক্ষ্য রাখা।

মাতৃগোট :-

  • প্রতি শনিবারে “Saturday Club” এর আয়োজন করা ।
  • প্রাতঃসভা ও মধ্যাহ্ন ভোজন পরিদর্শন করা। 

লোকসমাজের অনুদান ও শ্রমদান :

 আমার বিদ্যালয়ে লোকসমাজের অনুদান ও শ্রমদান এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বিদ্যালয়ের উন্নয়নকল্পে করা বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে এবং গণতন্ত্র দিবস, স্বাধীনতা দিবসের মতো রাষ্ট্রীয় দিবসগুলোতে করা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমরা লোকসমাজের পক্ষ থেকে কিছু আর্থিক অনুদান এবং শ্রমদানের সাহায্য পেয়েছিলাম, যার ফলে আমরা অনুষ্ঠানগুলি সুন্দর ও সুষ্ঠভাবে পরিচালনা করতে এবং সাফল্যমন্ডিত করে তুলতে সক্ষম হয়েছিলাম। 

লোকসমাজের অন্যান্য ভূমিকা 

উপরে উল্লেখ করা বিভিন্ন ক্রিয়াকলাপগুলি ছাড়াও লোকসমাজের আরও কিছু অন্যান্য ভূমিকাও আছে যা শিক্ষার্থীদের সর্বাঙ্গীন বিকাশ সাধনের জন্য আমাদের বিদ্যালয়ে করা হয়ে থাকে যেমন লোকসমাজ বা সম্প্রদায়ের যারা গান জানেন তারা আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গান শিখতে সাহায্য করে থাকেন, যারা নাচ জানেন তারা মধ্যে মধ্যে শিক্ষার্থীদের নাচ শিখানোর চেষ্টা করে থাকেন। এছাড়াও লোকসমাজের অন্যান্য যারা বিভিন্ন শিল্পকর্ম বা হস্তশিল্প জানেন তারাও তাদের শিল্পকর্ম বা হস্তশিল্পের শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষিত করে তুলতে চেষ্টা করে থাকেন।  এবং এর ফলে শিক্ষার্থীরা পুঁথিগত শিক্ষায় পারদর্শী হয়ে ওঠার পাশাপাশি গান, নাচ এবং অন্যান্য বিভিন্ন শিল্পকলায়ও পারদর্শী হয়ে উঠার সুযোগ পেয়ে থাকে। 

উপসংহারঃ 

উপরোক্ত বিশ্লেষণ থেকে এটা ক্রমশ প্রমাণিত হচ্ছে যে বিদ্যালয় ও সম্প্রদায় একইসঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে বিদ্যালয় শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য। এই প্রসঙ্গে এটি বলা যায় যে বিদ্যালয় যেহেতু লোকসমাজ বা সম্প্রদায়ের এক সদর্থক ও ঘনিষ্ঠ অঙ্গ তাই তা ছাত্রছাত্রীদের বিকাশ ও শিখনের বাধাকে চিহ্নিত করে তাদের স্বাস্থ্যকর বিকাশ সাধনের জন্য সম্প্রদায় বা লোকসমাজের সঙ্গে মিলে আরও ভালোভাবে কাজ করবে। 


Spread the love

Leave a Comment