How to Clear CTET Exam in First Attempt || 5 easy and simple strategies.

Spread the love

আমরা সকলেই জানি যে বর্তমান সময়ে শিক্ষক হতে চাইলে টেট অর্থাৎ টিচার্স এলিজিবিলিটি টেস্ট পরীক্ষাটি পাস করা বাধ্যতামূলক। টেট বা টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট দুই ধরণের হয়, একটি হলো রাজ্যিক টেট যা প্রতিটি রাজ্যে হয়ে থাকে রাজ্য সরকারের অধীনস্থ বিদ্যালয় গুলোতে শিক্ষক নিয়োগ করার জন্য এবং অন্যটি হলো কেন্দ্রীয় টেট (CTET) যা প্রতিবছর দুইবার হয়ে থাকে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ বিদ্যালয়সমূহতে শিক্ষক নিয়োগ করার জন্য। 

আজ আমি এই আর্টিকেল এর মধ্যে পাঁচটি সহজ কৌশল অবলম্বনের মাধ্যমে কিভাবে প্রথম প্রয়াসেই কেন্দ্রীয় টেট পরীক্ষায় সাফল্য পাওয়া যায় (How to Clear CTET Exam in First Attempt with 5 easy and simple strategies) সে বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে বলবো, কারণ কেন্দ্রীয় টেট (CTET) পাস করা প্রার্থীরা অনেকসময় রাজ্য সরকারের অধীনস্থ বিদ্যালয়গুলোতেও নিয়োগ পেতে পারেন কিন্তু রাজ্যিক টেট পাস করা কোনো প্রার্থীই কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ বিদ্যালয়গুলোতে নিয়োগ পেতে পারেন না, কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ বিদ্যালয় গুলোতে শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ পাওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া বাধ্যতামূলক।

CTET Examination Details

CTET বা কেন্দ্রীয় শিক্ষক যোগ্যতা পরীক্ষা হলো কেন্দ্রীয় মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড অর্থাৎ Central Board of Secondary Education (CBSE) এর দ্বারা আয়োজিত একটি শিক্ষক নিযুক্তি পরীক্ষা যা কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে থাকা বিদ্যালয় সমূহ যেমন কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় (Kendriya Vidyalaya), জওহর নভোদায় বিদ্যালয় (Jawahar Navodaya Vidyalaya), কেন্দ্রীয় তিব্বতীয় বিদ্যালয় (Central Tibetan Schools), এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির (প্রশাসনিক অঞ্চল) প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণাধীন বিদ্যালয় (schools under the administrative control of the union territories) গুলোতে প্রথম শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত অধ্যনরত শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদান করার জন্য শিক্ষক নিয়োগ করার উদ্দেশে প্রতি বছর দুইবার নেওয়া হয়ে থাকে।

Exam Pattern of Central Teacher Eligibility Test (CTET)

CTET বা কেন্দ্রীয় শিক্ষক যোগ্যতা পরীক্ষায় পেপার-I  এবং পেপার-II এই দুই ধরণের পেপার থাকে, এর মধ্যে পেপার-I  টি হলো সেইসব প্রার্থীদের জন্য যারা নিম্ন-প্রাথমিক অর্থাৎ প্রথম শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের শ্রেণিশিক্ষক হতে চান এবং পেপার-II  টি হলো সেইসব প্রার্থীদের জন্য যারা উচ্চ-প্রাথমিক অর্থাৎ ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের শ্রেণিশিক্ষক হতে চান। 

Subject Details of Central Teacher Eligibility Test

CTET বা কেন্দ্রীয় শিক্ষক যোগ্যতা পরীক্ষায় পেপার-I  এবং পেপার-II এই দুই ধরণের পেপারের প্রতিটিতেই পাঁচটি করে বিষয় বা সাবজেক্ট থাকে। এর মধ্যে পেপার-I এ সকল প্রার্থীদের পাঁচটি বিষয়েরই বাধ্যতামূলক ভাবে পরীক্ষা দিতে হয় কিন্তু অপরদিকে পেপার-II তে সকল প্রার্থীদের প্রথম তিনটি বাধ্যতামূলক বিষয়ের সঙ্গে চতুর্থ ও পঞ্চম বিষয়ের মধ্যে যেকোনো একটি বিষয় বেছে নিতে হয়। কেন্দ্রীয় শিক্ষক যোগ্যতা পরীক্ষায় থাকা বিষয়গুলির বর্ণনা নিম্নরূপ-

পেপার-১

  1. শিশুর বিকাশ এবং শিক্ষন বিজ্ঞান (Child Development and Pedagogy) – বাধ্যতামূলক বিষয় 
  2. ভাষা – ১ (বাংলা/ হিন্দি/ অসমীয়া ইত্যাদি) – বাধ্যতামূলক বিষয়
  3. ভাষা – ২ (ইংরেজি) – বাধ্যতামূলক বিষয়
  4. গণিত (Mathematics) – বাধ্যতামূলক বিষয়
  5. পরিবেশ অধ্যয়ন (Environmental Studies) – বাধ্যতামূলক বিষয়

পেপার-২

  1. শিশুর বিকাশ এবং শিক্ষন বিজ্ঞান (Child Development and Pedagogy) – বাধ্যতামূলক বিষয় 
  2. ভাষা – ১ (বাংলা/ হিন্দি/ অসমীয়া ইত্যাদি) – বাধ্যতামূলক বিষয়
  3. ভাষা – ২ (ইংরেজি) – বাধ্যতামূলক বিষয়
  4. সমাজ বিজ্ঞান/ সমাজ অধ্যয়ন (Social Science/Social Studies) – সেই সকল প্রার্থীদের জন্য যারা সমাজ বিজ্ঞান/ সমাজ অধ্যয়ন বিষয়ের শিক্ষক হতে চায়।
  5. গণিত এবং বিজ্ঞান (Mathematics and Science) – সেই সকল প্রার্থীদের জন্য যারা গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক হতে চায়। 

Time Duration and Marks Details of Central Teacher Eligibility Test (CTET)

CTET বা কেন্দ্রীয় শিক্ষক যোগ্যতা পরীক্ষায় পেপার-I  এবং পেপার-II এই দুই ধরণের পেপারের প্রতিটিতেই ১৫০ মিনিট বা আড়াই ঘন্টা সময় থাকে এবং দুইটি পেপারের প্রতিটিতেই ১৫০ টি মাল্টিপল চয়েস টাইপ প্রশ্ন থাকে এবং প্রতিটি প্রশ্ন এক মার্কের থাকে অর্থাৎ মোট ১৫০ মার্ক থাকে। CTET পরীক্ষায় ভুল উত্তর দিলেও কোনো নিগেটিভ মার্কিং থাকে না। পেপার- ১ এ পাঁচটি বিষয় বা সাবজেক্ট থাকে এবং প্রতিটি বিষয়ে ৩০ টি করে এক মার্কের মাল্টিপল চয়েস টাইপ প্রশ্ন দেওয়া থাকে অর্থাৎ পাঁচটি বিষয়ে মোট ১৫০ টি এক মার্ক এর প্রশ্ন থাকে। কিন্তু পেপার- ২ তে প্রথম তিনটি বাধ্যতামূলক বিষয়ে ৩০ টি করে এক মার্ক এর প্রশ্ন দেওয়া থাকে অর্থাৎ তিনটি বিষয়ে মোট ৯০ টি এক মার্ক এর প্রশ্ন থাকে এবং বাকি থাকা ৬০ মার্ক গণিত ও বিজ্ঞান বিষয় এবং সমাজ বিজ্ঞান বিষয়ের প্রতিটিতে দেওয়া থাকে। যারা গণিত ও বিজ্ঞান বিষয় এর শিক্ষক হতে চান তাদের জন্য গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ে ৬০ টি এক মার্ক এর প্রশ্ন থাকে এবং যারা সমাজ বিজ্ঞান বা সমাজ অধ্যয়ন বিষয়ের শিক্ষক হতে চান তাদের জন্য সমাজ বিজ্ঞান বিষয়ে ৬০ টি এক মার্ক এর প্রশ্ন দেওয়া থাকে।

How to Clear CTET Examination in First Attempt with 5 Easy and Simple Strategies

আমরা আমাদের জীবনে যখন যাই পরীক্ষা দেই না কেন আমরা সেটা সাফল্য পাওয়ার জন্য দিয়ে থাকি আর যদি সেটা কোনো চাকুরীতে নিযুক্তি পাওয়ার জন্য নেওয়া কোনো পরীক্ষা থাকে তখন তো আমরা আরও বেশি পড়াশুনা করে পরীক্ষা দিয়ে থাকি যাতে আমরা সেই পরীক্ষাটিতে সাফল্যের সাথে উত্তীর্ণ হতে পারে। Central Teacher Eligibility Test বা কেন্দ্রীয় শিক্ষকের যোগ্যতা নিরূপক পরীক্ষা হলো একটি শিক্ষক নিযুক্তি সম্পর্কিত পরীক্ষা এবং তাই শিক্ষক হতে চাওয়া সকল প্রার্থীরাই এই পরীক্ষাটিতে প্রথম প্রয়াসেই সাফল্য পেতে চায়। তো এখন আমরা এটা জানবো যে কিভাবে পাঁচটি  কৌশল অবলম্বন করে প্রথম প্রয়াসেই CTET পরীক্ষায় সাফল্য পাওয়া যায়।

সময়সূচি (Time Table)

আমরা আমাদের জীবনে যখনই যাই পরীক্ষা দেই না কেনো, সফলতা পাওয়ার জন্য আমাদের সর্বদাই একটি নির্দিষ্ট সময়সূচি মেনে পড়াশুনা করা প্রয়োজন কারণ তখন আমরা আমাদের অগ্রগতির বিষয়ে অবগত হতে পারি। CTET বা কেন্দ্রীয় শিক্ষকের যোগ্যতা নিরূপক পরীক্ষাও তার ব্যতিক্রম কিছু নয়, কেন্দ্রীয় টেট পরীক্ষায় প্রথম প্রয়াসে সাফল্য পেতে চাইলে আমাদের প্রথমে যে কাজটি করতে হবে সেটি হলো আমাদের একটি নির্দিষ্ট সময়সূচি তৈরী করতে হবে এবং সেই সময়সূচি মেনে প্রতিদিন পড়াশুনা করতে হবে।

এবার প্রশ্ন হলো সময়সূচি কিভাবে তৈরী করতে হবে, আমরা অনেকেই কোনো পরীক্ষার আগে এটা ভেবে নেই যেই একটি সুন্দর সময়সূচি তৈরী করবো এবং রোজ ওই সময়সূচি মেনে পড়াশুনা করব কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেকেই সেটা করতে পারেন না কারণ তারা এটা বুঝতে পারেন না যে কোন বিষয়ের জন্য প্রতিদিন কত সময় দেবেন। তাই আজ আমি এখানে CTET পরীক্ষায় সাফল্য পাওয়ার জন্য সময়সূচি বা টাইম টেবিল কিভাবে তৈরী করতে হবে তার একটি স্বচ্ছ ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করবো যাতে আপনারা সবাই কোন বিষয়ের পড়াশুনায় রোজ কতসময় ব্যয় করবেন তা নিজেরাই বুঝে নিতে পারেন।

কোনো পরীক্ষার পড়াশুনা করার জন্য একটি সুন্দর সময়সূচি তৈরী করার সবথেকে ভালো এবং সঠিক উপায় হলো প্রথমে সেই পরীক্ষায় সর্বমোট কয়টি বিষয় বা সাবজেক্ট আছে সেটা দেখে নেওয়া এবং সেই সবকটি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে সুন্দর এবং সঠিক সময়সূচি তৈরী করা। এছাড়াও কোনো পরীক্ষার পড়াশুনার জন্য সময়সূচি তৈরী করতে হয় সেই পরীক্ষায় থাকা বিষয় গুলির উপর আপনাদের সবলতা এবং দুর্বলতার উপর ভিত্তি করে অর্থাৎ কোন বিষয়ে আপনি তুলনামূলকভাবে পারদর্শী এবং কোন বিষয়ে আপনি তুলনামূলকভাবে দুর্বল সেটার উপর ভিত্তি করে। সিটেট পরীক্ষার ক্ষেত্রেও সেটাই করতে হয়, CTET পরীক্ষায় মোট পাঁচটি বিষয় থাকে, ধরে নিন এই পাঁচটি বিষয় এর মধ্যে দুইটি বিষয়ে আপনি তুলনামূলকভাবে অনেকটা বেশি পারদর্শী কিন্তু বাকি থাকা তিনটি বিষয়ে আপনি অনেকটা দুর্বল, এক্ষেত্রে আপনার পড়াশুনার সময়সূচিটা এরকম হওয়া উচিত যাতে আপনার দুর্বলতা থাকা বিষয়গুলোতে প্রতিদিন আপনাকে এক ঘন্টা করে মোট তিন ঘন্টা সময় দিতে হবে এবং বাকি থাকা যে দুইটি বিষয়ে আপনি অনেক কিছু জানেন সেই বিষয়গুলোতে আধা ঘন্টা করে সময় দিলেও চলবে তবে এই সময়সূচিটি মেনে আপনাকে কমকরেও এক থেকে দুই মাস পর্যন্ত খুব মনোযোগ সহকারে পড়াশুনা করতে হবে কারণ পড়াশুনা না করলে কেউ কোনো পরীক্ষায়ই সফলতা অর্জন করতে পারে না। আর তাই প্রথম প্রয়াসেই CTET পরীক্ষায় সাফল্য পেতে চাইলে এক থেকে দুইমাসের জন্য প্রতিদিন এই সময়টুকু দিয়ে পড়াশুনা করাটা বাধ্যতামূলক বলে ধরে নিতে পারেন। পড়াশুনা কিভাবে করবেন বা কি কি বিষয় পড়বেন তা নিচের পয়েন্টে বুঝিয়ে দেব। 

কি ধরণের প্রশ্নোত্তর পড়তে হবে 

পরীক্ষাটা যে ধরণেরই হোক না কেনো, সেই পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য আমরা কি পড়বো, কোন কোন টপিক পড়বো, কি কি প্রশ্নোত্তর পড়লে তা পরীক্ষায় আসবে এই সব চিন্তা অনেক সময় আমাদের মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। CTET পরীক্ষার ক্ষেত্রেও সেটাই হয়, CTET পরীক্ষা দেওয়ার আগেও প্রায় সকল প্রার্থীরা এটাই ভেবে থাকেন যে কি কি প্রশ্নোত্তর পড়লে প্রথম প্রয়াসেই CTET পরীক্ষায় সাফল্য পাওয়া যাবে। তো আমি এখানে এই আর্টিকেলটিতে এই সমস্যার কিছুটা হলেও সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করবো।পরীক্ষার জন্য যাকিছু পড়ার সেগুলো পড়তে তো হবে আপনাদেরকেই সেখানে আমার কিছু করার নেই কিন্তু আমি এখানে এমন কিছু সহজ উপায় নিয়ে আলোচনা করবো যার দ্বারা আপনারা প্রথমে কি কি পড়তে হবে এবং কিভাবে পড়তে হবে তার একটি সহজ ধারণা পেয়ে যাবেন।  

প্রথমে পূর্বে হয়ে যাওয়া পাঁচ বা ছয় টি কেন্দ্রীয় TET পরীক্ষার প্রশ্নপত্র জোগাড় করুন এবং এই প্রশ্নপত্র গুলো নিয়ে সেগুলি মনোযোগ সহকারে দেখুন। এবার প্রতিটি প্রশ্নপত্রের মধ্যে যে পাঁচটি বিষয়ের প্রশ্ন থাকে সেই সবকটি বিষয়ের প্রত্যেকটি বিষয়ে যে ৩০ টি প্রশ্ন দেওয়া আছে এই প্রশ্নগুলো সিলেবাসের কোন কোন অংশ থেকে এসেছে সেটা খুঁজে দেখুন এবং সেগুলি লিখে রাখুন। এছাড়াও সবকটি প্রশ্নপত্রে ছিল বিদ্যমান ছিল এমন প্রশ্নগুলোও খুঁজে লিখে রাখুন। বিশ্বাস করুন এই কাজগুলো করতে খুব বেশি সময় লাগবে না কিন্তু এই কাজগুলো করার কারণে যখন আপনি পরীক্ষায় বসবেন তখন বিশেষ ভাবে উপকৃত হবেন। এবার সিলেবাসের যে যে অংশ থেকে প্রতিবার অধিক প্রশ্ন এসেছে সেই সব গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলি ভালো করে পড়বেন এবং একইসঙ্গে সেই সব গুরুত্বপূর্ণ অংশের সম্পর্কিত অন্যান্য অংশগুলিও ভালো করে পড়বেন বিশেষ করে যে যে অংশে আপনার দুর্বলতা আছে সেই অংশগুলো একটু বেশি পড়বেন যাতে পরীক্ষায় বসার পর ওই প্রশ্নগুলোর সঠিক উত্তর দিতে আপনার অধিক সময় ব্যয় না হয়। 

Also Read – Class III Bengali Lesson Plan.

সঠিক উত্তর দেওয়ার গতি বৃদ্ধি করা (Increasing Question Attempting Speed with Accuracy)

যে কোনো পরীক্ষার জন্যই একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা থাকে, আমাদের ওই সময়সীমার ভিতরেই সকল প্রশ্নগুলির উত্তর দিতে হয়, কেন্দ্রীয় TET পরীক্ষার ক্ষেত্রে সেই নির্দিষ্ট সময়সীমাটি হলো দুই ঘন্টা ত্রিশ মিনিট অর্থাৎ আড়াই ঘন্টা এবং এই আড়াই ঘন্টা সময়সীমার মধ্যে প্রশ্নপত্রে দেওয়া সবকটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হলে আমাদের সঠিক উত্তর দেওয়ার গতি আরও তীব্র করতে হবে। অনেকে বলেন যে কেন্দ্রীয় TET পরীক্ষায় প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার গতি বাড়ানোর জন্য উত্তরপত্রে দেওয়া সার্কল গুলো ভরতে থাকো  কিন্তু এটি সম্পূর্ণরূপে ভুল একটি কথা কারণ শুধুমাত্র উত্তরপত্রে দেওয়া সার্কল গুলো ফিল আপ করাই বড়ো`কথা নয় এটা যে কোনো কেউ করতে পারবে, বরং উত্তরপত্রে প্রতিটি প্রশ্নের সঠিক উত্তর নির্দেশ করে যে সার্কলগুলি সেই সার্কল গুলোকে ফিল আপ করাটাই হলো বড়ো কাজ। 

যে কোনো পরীক্ষায় মার্ক্স্ তখনি পাওয়া যায় যখন সকল উত্তরগুলি সঠিক হয় তাই CTET  পরীক্ষায় ও ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য সঠিক উত্তর দেওয়ার পাশাপাশি উত্তরগুলো নির্দিষ্ট সময় সীমার ভিতরে যাতে সম্পূর্ণ করা যায় সে দিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে এবং সেই কারণেই সঠিক উত্তর দেওয়ার গতি বাড়ানো খুব বেশি প্রয়োজন। এবার প্রশ্ন হলো গতি কিভাবে বাড়াবেন, তো গতি বাড়ানোর সবচেয়ে সহজ ও প্রমাণিত কৌশল হলো মোক টেস্ট (Mock Test) দেওয়া, তবে প্রথমেই একসঙ্গে ১৫০ টি প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য ১৫০ মিনিটের টাইমার লাগিয়ে মোক টেস্ট দিলে ঠিক হবে না, প্রথমে ১০ মিনিটের টাইমার লাগিয়ে ১০ তা প্রশ্নের সঠিক উত্তর করো, তারপর ৩০ মিনিটের টাইমার লাগিয়ে ৩০ টি প্রশ্নের সঠিক উত্তর করো এবং এইভাবে ধীরে ধীরে সময় ও প্রশ্নের সংখ্যা বাড়িয়ে মোক টেস্ট দিতে থাকলে নিঃসন্দেহে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার গতি বাড়বেই এটা নিশ্চিত এবং এই বর্ধিত গতি আপনাদের কেন্দ্রীয় টেট পরীক্ষায় যথেষ্ট প্রয়োজনে আসবে। 

Also Read- How to write Teachers Diary in Bengali Language.

গণিতে অংকের গণনা করার গতি উন্নত করা (Improve Speed in Mathematical calculation)

পরবর্তী কৌশল যা আমাদের প্রথম প্রয়াসেই কেন্দ্রীয় টেট পরীক্ষায় সাফল্য পেতে সহায়তা করতে পারে তা হলো আমাদের গণিত বিষয়ের অংকের গণনা করার গতি উন্নত করতে হবে। কেন্দ্রীয় টেট পরীক্ষায় সফলতা অর্জন করতে পারেন নি এরকম প্রার্থীদের যদি এটা প্রশ্ন হয় যে তোমরা কেনো সফলতা পাও নি, কি সমস্যা হয়েছিল তখন তাদের মধ্যে অধিকাংশ প্রার্থীরাই এটা বলবে যে তাদের গণিত বিষয়ে থাকা ৩০ টি প্রশ্নের অংকের গণনা করতে অনেক বেশি সময় নষ্ট হয়ে গেছিলো তাই সময়ের অভাবে তারা বাকি বিষয়গুলোর উত্তর দিতে পারেনি। গণিত বিষয়ে এমনিতেই অন্যান্য বিষয়গুলো থেকে একটু বেশি সময় লাগে কিন্তু এই একটু বেশি সময় টা যাতে অনেক বেশি সময়ে পরিবর্তন না হয় সেই কারণে আমাদের অংকের মধ্যে গণনা করার গতি উন্নত করা টা বাধ্যতামূলক বলতে পারেন। এবং এই গতি বাড়ানোর জন্য গণিতের নামতা, সহজ গাণিতিক কৌশল, জ্যামিতিক বিভিন্ন সূত্র ইত্যাদি শিখতে পারেন। 

নিজে লিখে নিজের ব্যক্তিগত নোটস তৈরী করা (Write and Make your own Notes)

যে কোনো পরীক্ষার জন্য যে কোনো বিষয়ই হোক না কেনো, পড়া ও শেখার পর সেগুলি লিখে নেওয়া টা একটা খুব ভালো অভ্যাস কারণ এতে পরীক্ষায় বসার পর পড়াগুলো মনে রাখতে অনেক সহায়তা পাওয়া যায়। কেন্দ্রীয় টেট বা CTET পরীক্ষার ক্ষেত্রেও সেটাই করা উচিত। CTET পরীক্ষার সিলেবাসে থাকা যে কোনো বিষয়ই হোক না কেনো যখন ওই বিষয়গুলোর গুরুত্বপূর্ণ অংশ বা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলো পড়বেন তখন সেটা একটা নোটবুকে লিখে নিজের নোটস তৈরী করবেন, CTET পরীক্ষার দুই মাস আগে থেকে যদি এই কৌশলটি ঠিকমতো কাজে লাগান তবে সেটা CTET পরীক্ষায় অনেক বেশি উপকারে লাগবে। 

প্রথমে এক নম্বর পয়েন্টে বলা কৌশল অনুসারে পূর্বে হয়ে যাওয়া CTET পরীক্ষাগুলোর প্রশ্নপত্র দেখে সিলেবাসের সকল বিষয়ের গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো নোটবুকে লিখবেন তারপর অনলাইন ভিডিও থেকে হউক বা অনলাইন আর্টিকেল থেকে বা কোনো বই থেকে হলেও ওই সব গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলোর বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করে লিখবেন এবং এর মধ্যে থাকা প্রশ্নোত্তরগুলোও লিখে নিজের ব্যক্তিগত নোটস তৈরী করবেন। নিজের তৈরী করা এই নোটসগুলি পরীক্ষার আগের দিনও আপনাদের যথেষ্ট উপকারে আসবে। পরীক্ষার আগের দিন পড়াশুনা করার জন্য বেশি সময় থাকে না তখন ৫০০ পৃষ্ঠার অন্য কোনো বই পড়ে পাগল হতে হবে না, তখন আপনার নিজের তৈরী করা নোটবুকের সকল গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তরগুলো আবার পুনঃপাঠ করে আপনারা সুস্থির ভাবে কেন্দ্রীয় টেট পরীক্ষায় বসতে পারবেন। 

তো এই ছিল পাঁচটি সহজ কৌশল যা সঠিকভাবে অবলম্বন করে পড়াশুনা করলে যে কোনো প্রার্থী কেন্দ্রীয় টেট পরীক্ষাটিতে প্রথম প্রয়াসেই সফলতা অর্জন করতে পারবে বলে আমার মনে হয়, তবে সময়ে সময়ে অর্থাৎ প্রতি সপ্তাহে কম করে হলেও একবার নিজের অগ্রগতি খতিয়ে নিলে তা আরও বেশি ফলপ্রসূ হবে। 


Spread the love

Leave a Comment